১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে: বশেমুরবিপ্রবিপি উপাচার্য

পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবিপি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন বলেছেন, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় দিন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার কলঙ্ক বাঙালিকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে। জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর কাজীপাড়াস্থ লিয়াজোঁ অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বাঙালি জাতির জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। যার হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, যিনি দেশকে স্বাধীনতা, একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হবে যেটা কেউ কখনও ভাবেনি। খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তাঁর পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে, এমনকি শিশু রাসেলকে পর্যন্ত তারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। পৃথিবীর কোনো ধর্ম, কোনো মানবিক মূল্যবোধ এই হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করতে পারে না। তিনি বলেন, বিশ্বের বহু রাজনীতিবিদ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, এমন নৃশংস ঘটনা পৃথিবীর কোথাও ঘটেনি। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে। কোনো দল, কোনো নেতা, কোনো রাজনীতিবিদ যেন এমন নির্মম, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, জাতীয় ৪ নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, নির্যাতিত মা-বোন ও ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বশেমুরবিপ্রবিপি উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনও হত্যা, ঘৃণা, সাম্প্রদায়িকতা সমর্থন করেননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে রক্ষা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে উন্নত দেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবাই মিলে কাজ করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. অলক কুমার সাহার সভাপতিত্বে এবং সেকশন অফিসার নূর মোহাম্মদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মো. রফিকুল আলম, হিসাব রক্ষক আশিষ চন্দ্র মল্লিক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট অচিন্ত্য বিশ্বাস প্রমুখ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে রেজিস্ট্রার ড. অলক কুমারা সাহা বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীনের নেতৃত্বে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. অলক কুমার সাহা, অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মো. রফিকুল আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।